অনেক ভালো পরীক্ষা দেয়ার পর রেজাল্ট খারাপ হলো, অনেক যোগ্যতা থাকার পরও চাকরি টা হলো না, অপমান আর অপমান সয়েছেন সারাজীবন। এরপর আপনি বললেন জীবন আপনাকে শুধু কষ্ট ই দিয়েছে।
গার্লফ্রেন্ড দিলো ছ্যাকা, হয়ে গেলেন ব্যাকা। আপনি কষ্ট পাচ্ছেন, কেউ বললো ওরে ন্যাকা। তখন আপনি মন খারাপ করে বললেন, জীবন আমাকে শুধু কষ্ট ই দিয়েছে, সুখ দেয় নি।
অনেক বড় দূর্ঘটনার স্বীকার হলেন, কিংবা কেউ আপনার সাথে কথা বলতে চায় না, এমন পরিস্থিতিতে আপনি বললেন জীবন আপনাকে শুধু কষ্ট ই দিয়েছে।
আমরা অভিযোগ ও অভিনয় করতে পছন্দ করি, কেনো? অভিনয় ও দরকার নেই, অভিযোগ ও দরকার নেই। নিজের মতো থাকুন।
একটি গাছকে আঘাত করুন তবুও সে সহ্য করে যাবে। একটি পাহাড় কে আঘাত করুন, মাটি কে তো সারাক্ষণ ই আঘাত করে ই যাচ্ছেন। কই ওরা কখনো নিজেদের আঘাত করার কারণে আত্মহত্যা কে বেঁচে নিয়েছে? এখন আপনি বলবেন, গাছ কীভাবে আত্মহত্যা করবে, ওর তো বোঝার সক্ষমতা ই নেই।
হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন, গাছের তো কোনো বিবেক নেই। কিন্তু আপনার তো আছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, গাছ আমাদের কাঠ, ফলমূল,বাতাস দেয়। আপনি মানুষ হিসেবে কী দিয়েছেন?
কষ্ট টা সহ্য করতে পারবেন না কেনো? আপনি তো মানুষ! আপনি আত্মহত্যা করবেন কারণ আপনার কাছে জীবন ভালো লাগে না,মানুষ গুলো ভালো লাগে না। আমার তো মনে হয়, মাটি কখনোই মানুষ কে ভালোবাসতে পারে না। ওর উপর তো কত অত্যাচার করি আমরা মানুষরা।
এই লোকটা মনে হয় পাগল, এসব আমাকে বলতেই পারে অনেকে এখন, হাহাহা। আপনার ধারণা ভুল, মাটির উপর আমরা থাকি,হাঁটি। কই সে তো কখনও নিজ থেকে ভেঙে পড়ে নি,আমরা ভেঙেছি তারপর ভেঙেছে।
ঠিক এরকম ই, কখনোই আত্মহত্যা করবেন না। কেউ আপনাকে কষ্ট দিক, কষ্টে কষ্টে আপনি শেষ হয়ে যান, তবুও সুইসাইড নয়। আপনার মৃত্যু হতে হবে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। তখন গিয়ে আপনি বলতে পারবেন, আপনি জীবন কে বেঁচে থাকার বয়স টা বাঁচতে দিয়েছেন।
তাই আজ থেকে সুইসাইড এর ধারণা মাথা থেকে ফেলে দিন, জীবন আপনাকে কী দিলো সেটা না ভেবে এটা ভাবুন আপনি জীবন কে কী দিয়েছেন। এই যেমন আমি দিয়েছি, সবার সাথে বন্ধুত্ব করার স্বাধীনতা। আপনি জীবন কে কিছুই না দিতে পারলে, অন্তত যত বছর বাঁচতে পারবেন তত বছর বাঁচুন। তখন বলতে পারবেন, আপনি জীবন কে তার প্রাপ্য বছর বাঁচতে দিয়েছেন।
লিখাঃ- Sajnul Sayef
0 Comments